পবিত্র কাবা শরীফ
পৃথিবীতে মহান আল্লাহ পাকের একটি নিদর্শন। প্রতিটি মুসলিমের হৃদয়রাজ্যে
বাস করে বাইতুল্লাহ জিয়ারতের
স্বপ্ন। কাবার
পরিচিতি বিশ্বজোড়া। কিন্তু
এই কাবাঘর সম্পর্কিত এমন
কিছু তথ্য রয়েছে যা
অনেকই জানেন না।
ইঞ্জিনিয়ারিং
ল্যাবের আয়োজনে আজ আমরা
জানব কাবা শরীফের কিছু অজানা তথ্য সম্পর্কে। আপনি
যদি্ ইল্যাবে নতুন হন তাহলে
অবশ্যই চ্যানেলটি সাবস্কাইব করুন আর আগে
থেকে সাবস্কাইব করে থাকলে আপনাকে
অসংখ ধন্যবাদ।
পৃথিবীতে
মাটির সৃষ্টি হয় এই কাবাকে কেন্দ্র
করেই। হাদীসে
রয়েছে যে কাবার নিচের
অংশটুকু পৃথিবীর প্রথম জমিন।
পৃথিবীতে যখন মাটির কোন অস্তিত্ব
ছিল না তখন বিশাল সাগরের মাঝে এর
সৃষ্টি। ধীরে
ধীরে এর চারপাশ ভরাট
হতে থাকে এবং
সৃষ্টি হয় একটি বিশাল
মহাদেশের।
কাবা ঘরটি নির্মান
করা হয়েছে গ্রানাইট এবং মার্বেল পাথর দিয়ে।কাঠামোটির র্দৈঘ্য এবং প্রস্থ ১১.০৩ মিঃ
X ১২.৬২ মিঃ এবং উচ্চতা ১৩.১০ মিঃ (৪৩ ফুট)।
কাবা কালো সিল্কের
উপরে স্বর্ণ-খচিত ক্যালিগ্রাফি করা কাপড়ের গিলাফে আবৃত থাকে। কাপড়টি কিসওয়াহ নামে
পরিচিত। কালেমা শাহাদাত এ কাপড়ের মধ্যে সুতা দিয়ে লিখার কাঠামো তৈরি করা হয়। এর
দুই তৃতীয়াংশ কোরানের বাণী স্বর্ণ দিয়ে এম্রোয়ডারি করা হয়। গিলাফটি তৈরিতে বর্তমানে
৭শ কেজি সিল্ক, ১২০ কেজি স্বর্ণ এবং রুপার সুতা ব্যবহার করা হয়েছে। গিলাফটি প্রতি
বছর ৯ই জিলহজ্জ পরিবর্তন
করা হয়।
কাবা ঘরের ১টি মাত্র
দরজা। কাবা
ঘরের ছাদে ১২৭সে.মি
লম্বা ও ১০৪ সে.মি. প্রস্থের একটি
ভেন্টিলেটার আছে যেটি দিয়ে
সূর্যের আলো ভেতরে প্রবেশ
করে।
কাবা শরীফের দরজার চাবি বনী সায়বা নামক এক গোত্রের কাছে থাকে। মহানবী মুহাম্মদ (সাঃ) এই চাবী এই গোত্রের কাছেই চাবি দিয়েছিলেন, যা কিয়ামতের আগ পর্যন্ত তাদের কাছেই থাকবে। তারা কাবা শরীফ পরিস্কার করার কাজের জন্য বিভিন্ন মুসলিম দেশের প্রেসিডেন্ট, মন্ত্রী, কুটনীতিক ও গন্যমান্য ব্যক্তিদেরদের আমন্ত্রন জানান। মক্কা শহরের গভর্নর তাদের কাবা শরীফের ভিতরে নিয়ে যান এবং তারা জমজম কুপের পানি এবং গোলাপ জল দিয়ে কাবা শরীফের ভিতর পরিস্কার করেন।
পবিত্র
কাবা শরীফ পরিস্কার করার
জন্যে এর দরজা বছরে
দুইবার খোলা হয়।
রমজান এর ১৫ দিন
আগে এবং হজ্জ এর
১৫ দিন আগে।
পরিস্কারের পরে মেঝে এবং
দেয়াল সাদা কাপড় ও
টিসু দিয়ে মোছা হয়। এরপর
দেয়ালগুলি পারফিউম দিয়ে সুগন্ধযুক্ত করা
হয়।